(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম): বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন আগামী ১২ থেকে ১৫ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত হবে। এরআগে গতবছরের ডিসেম্বরে সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। গতকাল ডব্লিউটিও সদস্যদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়ালা এবং সুইজারল্যান্ডের জেনারেল কাউন্সিলের চেয়ার অ্যাম্বাসেডর দিদিয়ের চ্যাম্ভোবি জানান, ডব্লিউটিও ১২তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন আগামী ১২ থেকে ১৫ জুন জেনেভায় ডব্লিউটিও সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার বাসসকে জানান, গত ডিসেম্বরে যখন মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। এখনও আমাদের সেভাবে প্রস্তুতি রয়েছে।তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে মৎস্যখাতে ভর্তুকি বহাল রাখার পাশাপাশি এলডিসি উত্তোরণ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে যেসব অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যিক সুবিধা এখন আমরা পাচ্ছি, সেগুলো যেন এলডিসি উত্তোরণের পরেও বহাল থাকে।’ তিনি মনে করেন এবারের সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ডব্লিউটিও’র সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সম্মেলনকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী ১০ মে ডব্লিউটিও’র সাধারণ পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোন কোন বিষয় আলোচনা হয়, সেগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তারই আলোকে আমরা আরও কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করব।’ এলডিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ডব্লিউটিও’র সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাব দিবে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে একটি সরকারি প্রতিনিধিদলের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে ১৬৪টি দেশ ডব্লিউটিও’র সদস্য। বাংলাদেশ এ সংস্থার এলডিসি গ্রুপের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণ পর্যায়ে থাকায় এবারের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম। দুই বছর পরপর যা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ২০১৭ সালে সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারসে। ২০১৯ সালে সম্মেলন হয়নি। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজাখস্তানে সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তা হয় দ্বিতীয় দফায় জেনেভায় সংস্থার সদর দপ্তরে গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠানের পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার পরও করেনার নতুন ধরন অমিক্রণের কারণে শেষ পর্যন্ত স্থগিত করতে হয়।